সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

মামা কাহিনীঃ হোয়াট এ মিসকল!

ঈদের পর মামার দেখা নাই। ঈদের আগের দিন চান রাতে গরু বাজারে মামার সাথে শেষ দেখা হয়েছিল। আমি গরু হাটে ঢুকছি আর মামা গরুর দড়ি হাতে বের হচ্ছিলেন। এবার কম টাকায় ভাল গরু কিনেছিলেন মামা। এবার ঈদের আগের দিন গরুর দাম ভাল ছিল। গত বছর ঈদের আগের দিন গরু বাজারে গিয়ে ধরা খেয়েছিলেন। বেশী দামে বাছুর টাইপ একটা গরু নিয়ে এসেছিলেন। মামী নাকি গরু দেখে বেজায় খেপে গিয়েছিলেন! চিপা গল্লির মাথায় মহল্লার করিম টি ষ্টোরে মামার সাথে দেখা। যথারীতি ডান হাতে চা কাপ, বাম হাতে সিগারেট।

; মামা, দেখা নাই অনেকদিন। কেমন আছ? কোরবানীতে এবার মামী খুশি ছিলেন তো! এবার গরু দেখে মামী কেমন খুশী হল।
- ধুর, কি যে কস। তোর মামীর মন! উট কিনে দিলেও ভরবে না। হাতী কোরবানীর ব্যবস্থা হলে ভাল হত।
; তা, এবার আবার কি হল।
- কয়, আরো মধ্য রাতে কিনলে নাকি অনেক সস্তা পাওয়া যেত।
; মামা, মামী কিন্তু কথা মন্দ বলেন নাই। এবার ঈদের দিনেও হাটে গরু ছাগল ছিল। বলতে গেলে ভাল দাম। ত্রিশ হাজারের গরু ছিল দেখার মত।

মামা কথার মোড় অন্য দিকে ঘুরান। আমার কুশলাদি জানতে চান। চান্স পেয়ে আমিও মামার হাতের সিগারেটে ভাগ বসাই। আজ দিনভর অনেক চা পান করেছি। এখন আর নয়। হঠাত মামার ফোন বেজে উঠে। বার বার মোবাইল বেজেই চলছে। মামা ধরছেন না। এক সময় অনেক রিং হয়ে মোবাইল থেমে যায়।

; কি ব্যাপার মামা, ফোন ধরলে না যে!
- তোর মামীর ফোন ছিল।
; কিন্তু এতবার বাজলো তাতে তো তোমার ফোন ধরা দরকার ছিলো।
- না, এটা তোর মামীর মিস কল!
; মানে! মামা, এটা কি করে মিস কল হয়! মিস কল মানে তো এক রিং কিংবা হাফ রিং বাজতেই বন্ধ হয়ে যাওয়া।

তারপর পত্রিকা অফিসে কাজ করা আমাদের মহল্লার বিজ্ঞ মামা যা বললেন তাতে আমার আক্কেল গুড়ুম। মামী নাকি বলে দিয়েছেন, তিনি যতবারই রিং দেন বা দিবেন, তাই নাকি মিস কল! ধরা যাবে না, কলব্যাক করতে হবে। মামী নাকি মামাকে আরো বলেছেন, তুমি কি আমার প্রেমিক নাকি যে আমি তোমাকে এক রিং বা হাফ রিং দিয়ে কেটে দিব!

প্রথম প্রকাশঃ চতুর্মাত্রিক(তারিখঃ ২৩ নভেম্বর ২০১০, ৮:৫০ অপরাহ্ন)

মামা কাহিনীঃ মনের পথে যায় না যে জন!

৩১শে ডিসেম্বর রাতে মামার সাথে দেখা করা আমার পুরানো একটা রেওয়াজ। যত রাতই হউক না কেন। বছরের শেষ দেখা, শেষ আড্ডা মারি। দুইজনে মিলে করিম টি ষ্টোরে চা খাই, সিগারেট টানি। এবার মামাকে মোবাইলে বললাম, মামা আমি অফিস শেষে রাত এগারটায় থাকব, তুমি এসে যাবে। মামা হা বলেও এলেন না। অনেকক্ষন অপেক্ষা করে আমি একাই চা সিগারেট টেনে বাসায় ফিরি। মনটা মামার প্রতি ভীষন বিল্লা হয়ে আছে। নিয়ম ভংগ করা মামার ঠিক হয় নাই। নিয়ম মানাই মানষের কাজ।

গতরাতে আমাদের চিপা গলির মাথায় মামার সাথে দেখা। না দেখার ভান করে পাশকেটে আমি বাসার দিকে পা বাড়াই। নিয়ম ভাংগা মামার সাথে আমিও নিয়ম ভাংতে চাই। এত দিনের একটা নিয়ম কি করে মামা ভাংতে পারে।

; কি রে কই যাস। তোর জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি আর তুই না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছিস।

মামার কথার মনের সমস্ত দুঃখ হাওয়া হয়ে উড়ে যায়। যেন এই মাত্র দেখেছি এমন ভাব করে মামাকে সালাম দেই। আরে মামা, কেমন আছ? তোমার উপর রেগে আছি তাই চলে যাচ্ছিলাম। বছরের শেষ দিন দেখা করবে বলেও দেখা করলে না।

; তোর মামীর জ্বালায় বের হতে পারি নাই।
- মানে।
; তোর মামীর সাথে সংসারের সময় যত বাড়ছে, মনে হয় তোর মামী ততই বেশী বেশী দারোয়ানীর কাজ করছে। বর্তমান সময়ে এ এক নুতন মহা জ্বালার মাঝে আছি। বছরের শেষ দিনে ঘর থেকে বের হতে দেয় নাই। বলে নাকি আমার বয়স হয়ে গেছে, বছরের শেষ দিনে আর ছাইপাঁশ গিলতে হবে না!
- এটা তো তাহলে বেশ করছে।
; তা হলে তুই রাগ করে আছিস ক্যান!
- এই কথাটা তুমি ফোনে জানালেই পারতে। বের হতে পারছ না। অহেতুক অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে ছিলাম।
; আরে শুন - বিবাহিত পুরুষের উপর রাগ করতে নাই। বিবাহিত পুরুষ সারাক্ষনই নানা চাপের উপর থাকে। অনেক সময় বাসা থেকে প্রয়োজনীয় ফোনটাও করতে পারে না। আমি যদি তোকে ফোন করতাম তবে তোর মামী বলত, ওকি তোমাকে ডেকেছে, তুমিই আড্ডা মারার জন্য চটফট করছ।
- যাক মামা, বাদ দাও। তোমার কোপালের মন্দ। চল চা খেয়ে আসি।

চিপাগল্লি থেকে বের হয়ে আমরা করিম টি ষ্টোরের দিকে হাটতে থাকি। মামাকে বলি, আগামী শুক্রবার আমরা কয়জন বন্ধু সকাল সন্ধ্যা ভ্রমনে বের হচ্ছি। তুমি চাইলে যেতে পার। সকালে বের হব, রাতে ফিরে আসব। পথই আমাদের পথ দেখাবে। বেইলী রোডের শ্যামল, দিলু রোডের জিতু, শান্তিনগরের টুটুল। তুমি থাকলে আরো বেশী জমবে। মামা হিসাবে ওরাও তোমাকে ফিল করে। যেতে পার। আমাদের সাথে শ্যামলের গাড়ী থাকবে। জিতু তোমাকে যেতে বলেছে।

; না, যেতে পারব বলে মনে হয় না। সাপ্তাহের এক মাত্র ছুটির দিন। বাসার অনেক কাজ। সকালে উঠে বাজার সদাই, বাচ্চাদের চুল কাটানো সেলুনে নেয়া, গোসল করিয়ে দেয়া। তারপর বিকালের দিকে তোর মামীকে তার ভাইয়ের বাসায় দিয়ে আসতে হবে এবং রাতে আবার গিয়ে নিয়ে আসতে হবে। আরো কত কি!

মামা চায়ের কাপে চুমুক দেন। আমি মামার চোহারার দিকে তাকাই। দুনিয়ার সব বিবাহিত মামারা কত অসহায়। মনের পথে যায় না যে জন!

প্রথম প্রকাশঃ চতুর্মাত্রিক(তারিখঃ ৭ জানুয়ারি ২০১১, ৫:০৭ অপরাহ্ন)

মামা কাহিনীঃ আমাদের ভাগ্য!

প্রথম প্রকাশঃ চতুর্মাত্রিক(তারিখঃ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০, ৬:৩৪ অপরাহ্ন)

অনেকদিন ধরে আমাদের মহল্লার মামার দেখা নেই। ছেলেদের মামা ডাকলে তারা খুশি হয়। মেয়েদের আন্টি ডাকলে মাথা ফাটিয়ে দিতে চায়! রাত এগারটায় আমার অফিস থেকে ফেরার পথে চা দোকানে দাড়াই, শেষ কাপ চা খাই, যদি কারো পাই তবে কিছুক্ষন চলে আড্ডা। এইতো জীবন!

- কি রে এত রাতে কি করিস?

মামার কথা শুনে ফিরে তাকাই। চায়ের কাপে চুমুক দিতে গিয়ে পারলাম না।
; আরে মামা আমার। কেমন আছ? অনেক দিন খবর নাই। ইস কেমন জানি শুকিয়ে গেছ।
- আর বলিস না, নানাবিধ ঝামেলায় প্রান যায়। তারপর তোর মামীর সিজনাল ব্যারাম!
; কেন, মোটা মামীর আবার কি হল?
- ওই সিজনাল রোগ! কয়দিন ভাল কয়দিন কথা বন্ধ। এখন কথা বন্ধ চলছে। ঘরদোর আর ভাল লাগে না। কেন যে বিয়া করলাম।
; বিয়া করে এত বছর পার করে দিলা, এখনো মান অভিমান। বল কি?
- শুখে থাকলে ভুতে কিলায় অবস্থা। বিবাহের ১২ বছর পার হল, এখনো তোর মামীকে বুঝতে পারি নাই। থাকে ভাল থাকে ভাল তার পর একদিন ঝগড়া শুরু করে, অনেকটা আঙ্গুল মারা টাইপ ঝগড়া।
; এবার কি নিয়ে মামী লাগলো?
- এটা অবশ্য নুতন বিষয় নয়। ওই যে, আমি মরে গেলে তুমি কি আবার বিয়া করবা! আচ্ছা, তুই বল, এটা কি কোন ঝগড়ার বিষয় হতে পারে! কে আগে মরবে তা কি দুনিয়ার কেহ জানে?

মামা সিগারেট টানেন। আমাদের মহল্লার নুর নানাকে দেখে লুকানোর চেষ্টা করেন। পাকা হাজ্জী নুর নানা আমাদের কাছে চলে আসছেন। সালাম দিতেই হয়। আমি হাত বাড়াই।

- এত রাতে তোরা কি করিস? বাসা বাড়িতে যা, তোদের ওয়াইফরা যে তোদের মারে না এটাই তোদের ভাগ্য!

মামা কাহিনীঃ পুর্বাচল মুজিব সিটি।

মুসলমান বিশ্বের উত্তাল হাওয়া মনে কেমন দোলা দিয়ে যায়। তিউনিশিয়ার প্রসিডেন্ট বেন আলীর সৌদি আরবে পালায়নের পর, আর একটা পলায়ন দেখার জন্য মনটা চটফট করছিল। কিন্তু দেখা মিলছে না! মিশরের প্রসিডেন্ট হোসনী মুবারক এতটা বেহায়া হতে পারে কল্পনাও করা যায় না। আমাদের পটুয়া কাম্রুল হাসান একদা হু মো এরশাদকে ‘বিশ্ব বেহায়া’ বলেছিলেন, এখন তিনি বেঁচে থাকলে হোসনী মুবারকে কি বলতেন! মিশরের বর্তমান পরিস্থিতিকে পুরাপুরি বিশ্লেষণ করলে আতকে উঠতে হয়! এত লজ্জাহীন এবং বেহায়া প্রেসিডেন্ট পৃথিবীতে আর আসবে কি না কে জানে। কত শত হাজার প্রানের বিনিময়ে হলেও নিজের সম্পদ আর ক্ষমতা রাখা যায়! কি চেষ্টা! কিন্তু শেষ রক্ষা কি হবে!

এমনি বিক্ষিপ্ত ভাবনা চিন্তায় বাসে বসে ছিলাম। হাজীপাড়া পার হতেই নড়ে চড়ে বসি। সামনের স্টপজে নামতে হবে। আজকাল রাস্তাঘাট একটু ফাঁকা ফাঁকা মনে হয়। অফিসে আসা যাওয়ার সময় ব্যাপারটা টের পাওয়া যাচ্ছে। আগামী বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য সরকারী নির্দেশে পুরানো গাড়ীগুলো মনে হয় পালিযে গেছে। ভাল, তবে রিকশার জালাতনটা বেড়ে গেছে।

রাস্তার মাথায় নেমেই ভাবলাম বাসায় ফিরার আগে শেষ বাবের মত চা সিগারেট টেনে যাই। আমাদের করিম টি ষ্টোর। করিম ভাইয়ের দোকানের সামনে আসতেই মামার সাথে দেখা। মামাকে দেখে মন টা ভাল হয়ে গেল। কিছুক্ষন আড্ডা সাগরে গোসল সেরে পরিস্কার হয়ে যাই।

; কি খবর মামা। কেমন আছ? অনেক দিন পরে দেখা। তোমাদের পত্রিকাতো আজকাল ফাটাইয়া খবর লিখছে।
- তুই কোন খবরের কথা বলছিস।
; তোমাদের পত্রিকার আড়িয়ল বিলের খবরটা বেশ ভাল ছিল। এই খবরটা আমার মনে হয় আড়িয়ল বিল বাসীকে জাগিয়ে তুলেছিল।
- হা, টিপু সুলতানের রিপোর্ট টার কথা বলছিস? ও আসলেই ভাল লিখে।
; আচ্ছা মামা, এই টিপু সুলতান কি সেই ফেনীর সংবাদিক টিপু সুলতান! যাকে জয়নাল হাজারীর বাহিনী মেরে ফেলতে চাইছিলো?

মামা সিগারেটের মুখে আগুন দেন। আমার হাত ধরে টানেন, চল ওই দিকে চল। বেশি সময় নাই। তোর মামী আবার ফোন দিবে। আজ সকালে বের হয়ে এখনো বাসায় ফিরা হয় নাই।

- মামা, আড়িয়ল বিলে বিমান বন্দর নিয়ে কি ভাবছিলে। আমার তো মনে হয় সরকার আড়িয়ল বিলে বিমান বন্দর না করার ঘোষনা ভাল হয়েছে। আরো ভাল হত যদি পুরা বিমানবন্দর করার পরিকল্পনা থেকে বের হয়ে আসত।
; আসলে সরকার একটা হালকা পাতলা তওবা করে ফেলতে পারে। এ ধরনের নূতন কিছু মানুষ আর চায় না তা সরকারকে বুঝতে হবে।
- তা হলে সরকার এখন কি করবে? নূতন নূতন পরিকল্পনা না নিলে চলবে কি করে।
; কেন? দেশে কি সমস্যার অভাব আছে?
- আসলে মানুষ এখন পুরানো বিষয় গুলোর সমাধান চায়। তাদের দেয়া পুরানো প্রতিশ্রতি গুলোর সমাধান চায় মানুষ।
; তাহলে নামকরনের কি হবে?
- বিমানবন্দর না হলে নাই। সরকারের যে মুজিব সিটি বানানোর ইচ্ছা আছে তা সহজেই বানাতে পারে।
; কি করে? জায়গা পাবে কই?
- সরকার ইচ্ছা করলেই ঢাকার পূর্বাচলের নাম মুজিব সিটি করে নিতে পারে। আজ এত বছরেও পূর্বাচল সিটির উন্নতি হচ্ছে না। হাজার হাজার গ্রাহক রাজউক থেকে প্লট নিয়েও বুঝে পাচ্ছে না। যারা প্লট নিয়েছে তারা তাদের এ জন্মে প্লট ভোগ করে যেতে পারবে বলে মনে হয় না।
; কি করে বুঝলে।
- পূর্বাচলে যারা প্লট পেয়েছে তাদের কারোই বয়সই এখন আর পঞ্চাশের কম নয়! সংবাদিক, ডাক্তার, সরকারী চাকুরীজীবী, ব্যবসাহী, বিচারপতি, আকাশী, বাতাসী ও প্রবাসী! কার কথা বলব। এরা এখনো ইন্সটলমেন্ট দিয়ে যাচ্ছে। কবে প্লট পাবে তাও কেহ বলতে পারছে না তবে একটা হিসাব করা যায়।
; কি!
- প্লট বুঝে পেতে যদি আরো দশ বছর লাগে, শহর গড়ে উঠতে লাগবে আরো দশ বছর। মানে পূর্বাচলে বাস করতে হলে জমির মালিকদের তখন বয়স হবে সত্তর বছর। সেই বয়সে দুনিয়ার জায়গা দিয়ে আর কি হবে? তা ছাড়া বেশীর ভাগ পূর্বাচল প্লটের মালিক তখন থাকবে মাটির নীচের দুনিয়ায়!

আমি কিছুটা আতকে উঠি। হা, তাই তো? দুনিয়াতে একটা লোক জায়গা কিনে কি জন্য! নিজের টাকায় কেনা জায়গা যদি নিজে ভোগ করতে না পারে তবে? মামার চিন্তাটা মাথায় ধরে। আসলেই সত্য ঘটনা। মামা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন।

- সংবাদিক কোটায় আমারো পূর্বাচলে একটা প্লট আছে। এটাই তোর মামীর ফিক্স ডিপোজিট। আমার মৃত্যুর পর তোর মামী যদি এটা পায় তবে সন্তানদের নিয়ে বাচতে পারবে। নতুবা ঢাকা থেকে বিদায় নিয়ে হবে।

মামার কথায় আমার হাসি এসে যায়। তুমি দুনিয়াতে থাকবে না, তোমার রক্তে মাংশে পানি করা টাকায় গড়ে যাচ্ছ সন্তানদের ভবিষ্যত।

মামা এর পর বলেন, আমাদের সরকারের অবস্থা হচ্ছে সেই লালন গানের মত - বাড়ির কাছে আরশী নগর, সেথায় পড়শী বসত করে, আমি একদিন ও না দেখিলাম তারে। সরকার পূর্বাচলের নাম পাল্টে ইচ্ছা মত যে কোন কিছু রাখতে পারে। দ্রুত শহরে পরিনত করে তাদের নাম প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, অনেক লোকের মুখে হাসি ফুটাতে পারে - পূর্বাচল মুজিব সিটি।